অফিস কিংবা বাসা বাড়ির নিরাপত্তায় বিশ্বাস রাখুন সিসিটিভি ক্যামেরায়।
“নিরাপত্তা” এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ যা আমাদের প্রতিদিন প্রতিটি
মুহুর্তেই প্রয়োজন। এই নিরাপত্তার জন্য আমরা কত কিছু করি। প্রাচীন কালে
রাজাবাদশাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল প্রহরী, আর বর্তমান যুগের সাথে
পরিবর্তনের অঙ্গিকারে প্রযুক্তির উপহারে আরো উন্নত এবং নিখুত হয়েছে
নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখন আপনি ঘরে বা অফিসের কোন এক রুমে বসেই নিশ্চিত করতে
পারবেন সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বাবস্থা। কাকে বিশ্বাস করবেন? সিকিউরিটি গার্ড? ড্রাইভার? কাজের লোক? আত্বীয়স্বজন?
না, আর কাউকে বিশ্বাস করতে হবে না। শুধু বিশ্বাস রাখুন বিশ্বস্ত সিকিউরিটি
যন্ত্রপাতির উপর। কারণ এরা কখনই আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না কিংবা
ডিউটির কথা বলে ঘুমিয়েও থাকবে না। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বেই
চুরি-ডাকাতি, সন্ত্রাস বেড়েই চলছে। আর সে কারনেই বিজ্ঞানীগণ চুরি-ডাকাতি,
সন্ত্রাসী বন্ধ করতে আবিষ্কার করেছেন অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি।সিসি টিভি
তার মাঝে অন্যতম।
সিসিটিভি সিষ্টেম
সিসিটিভি ক্যামেরা সিষ্টেম এর ব্যবহার আমাদের দেশে দশ-পনের বছর আগে শুরু হলেও পশ্চিমা দেশগুলোতে আরো বহু আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদিও সিসিটিভি ক্যামেরা সিষ্টেম তখন ছিল শুধু সাদা-কালো, এসব ক্যামেরায় অল্প আলোতেই পরিষ্কার ছবি দেখা যেত। পরবর্তিতে রঙ্গীন ক্যামেরা বাজারে আসলেও স্বচ্ছ ছবির জন্য প্রচুর আলোর প্রয়োজনীয়তার কারনে ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে অনেক কম আলোতেই রঙ্গীন ক্যামেরায় পরিষ্কার ছবি দেখতে পাওয়া যায়। ফলে এখন আর সাদা-কালো সিসিটিভি ক্যামেরা বা সিষ্টেম উৎপাদন হচ্ছেনা। বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী দুই ধরনের রঙ্গীন সিসিটিভি মনিটরিং সিষ্টেম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ষ্ট্যান্ড এ্যালোন এমবেডেড ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার) সম্বলিত সিসিটিভি মনিটরিং সিষ্টেম এবং পিসি বেজড সিসিটিভি মনিটরিং সিষ্টেম। ব্যবহারের ভিন্নতার কারনে বর্তমানে রঙ্গীন সিসিটিভি ক্যামেরা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমনঃ সাধারন ক্যামেরা, ডোম ক্যামেরা, হিডেন ক্যামেরা, স্পাই ক্যামেরা, স্পীড ডোম পিটিজেড ক্যামেরা, হিডেন ক্যামেরা, স্পাই ক্যামেরা, ডে-নাইট ক্যামেরা, জুম ক্যামেরা, ভেন্ডাল প্রুফ ক্যামেরা এবং আই পি ক্যামেরা উল্লেখযোগ্য।
সাধারন ক্যামেরা
যে সমস্ত এলাকায় ঐ জায়গাটি সিসিটিভি সিষ্টেম দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে প্রচার করার প্রয়োজন হয়, সেসব জায়গায় নরমাল ক্যামেরা লাগানো হয়। যাদেরকে বডি ক্যামেরা বা বক্স ক্যামেরাও বলা হয়ে থাকে। সাধারনত মিল-ফ্যাক্টরী, ব্যাংক-বীমা সহ অন্যান্য সব অফিসে প্রকাশ্যেই এসব ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ জাতীয় ক্যামেরায় প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন ধরনের লেন্স (ষ্ট্যান্ডাডর্ লেন্স, ওয়াই এ্যাঙ্গেল লেন্স এবং জুম লেন্স) লাগানো যায়। এসব ক্যামেরা, ক্যামেরা মাউন্টিং ব্রাকেট দিয়ে দেয়ালে বা কলামে লাগানো হয়।
ডে-নাইট ক্যামেরা
এই ডে-নাইট ক্যামেরাগুলোও দেখতে অনেকটা সাধারন ক্যামেরার মত এবং ক্যামেরা মাউন্টিং ব্রাকেট দিয়ে দেয়ালে বা কলামে লাগানো হলেও এর দক্ষতায় আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে। এই ক্যামেরার লেন্স এর চতুর্দিকে সাজানো রয়েছে অনেকগুলো ইনফ্রা-রেড ইলুমিনেটর এবং একটি সেন্সর। দিনের বেলায় যেমন ঝকঝকে রঙ্গীন ছবি পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি নির্দ্দিষ্ট পরিমান আলো না থাকলে তখনই সেন্সরটি ইলুমিনেটর গুলোকে জ্বালিয়ে দেয়। যার ফলে অমাবশ্যা রাতের মত ঘুট-ঘুটে অন্ধকারেও ৫০ ফুট দূরের বস্তু পরিষ্কার দেখা যায়। কিন্তু মানুষের চোখ এই ইলুমিনেটর এর কোন আলোই চোখে দেখেনা।
ডোম ক্যামেরা
যে সমস্ত বাসায় দেয়ালে ক্যামেরা লাগানোর সুবিধা নেই বা দেয়ালে লাগালে সামগ্রীক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়না, সেখানে এসব ডোম ক্যামেরা লাগানো যেতে পারে। এসব ক্যামেরায় একটি নির্দ্দিষ্ট ধরনের লেন্স লাগানো থাকে এবং এসব ক্যামেরা সাধারনত ক্যামেরা মাউন্টিং ব্রাকেট লাগেনা যাহা সাধারনত শুধু সিলিং এ লাগানো হয়। এই জাতীয় ক্যামেরা সাধারন লোকের জন্য চেনা একটু কঠিন। কারন এতে কোন লেন্স দেখা যায়না, অনেকটা বাতির মত দেখতে কালো আবরনে ঢাকা।
ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার)
কোন বড় বাড়ির নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যবহৃত হতে পারে এই ৮ বা ১৬ চ্যানেলের ষ্ট্যান্ড এ্যালোন এমবেডেড ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার) এবং বিল্ট-ইন ডিভিডি রাইটার। এই সিষ্টেমে ৮-১৬ টি ক্যামেরার ছবি একই পর্দায় একসাথে দেখা যায় আলাদা আলাদা ভাবে হার্ডডিস্কে রেকর্ড হয়। বিশেষ কোন প্রয়োজনীয় মুহুর্তের ছবি ডিভিডিতে রাইট করে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষন করা যায়। এছাড়াও হাই স্পীড ইন্টারনেট (স্ট্যাটিক আইপি) সংযোগ এর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন জায়গা থেকে লগ ইন করে লাইভ সিসিটিভি মনিটরিং বা রেকর্ডিং করা যায়।
সিসিটিভি ক্যামেরা সিষ্টেম এর ব্যবহার আমাদের দেশে দশ-পনের বছর আগে শুরু হলেও পশ্চিমা দেশগুলোতে আরো বহু আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদিও সিসিটিভি ক্যামেরা সিষ্টেম তখন ছিল শুধু সাদা-কালো, এসব ক্যামেরায় অল্প আলোতেই পরিষ্কার ছবি দেখা যেত। পরবর্তিতে রঙ্গীন ক্যামেরা বাজারে আসলেও স্বচ্ছ ছবির জন্য প্রচুর আলোর প্রয়োজনীয়তার কারনে ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে অনেক কম আলোতেই রঙ্গীন ক্যামেরায় পরিষ্কার ছবি দেখতে পাওয়া যায়। ফলে এখন আর সাদা-কালো সিসিটিভি ক্যামেরা বা সিষ্টেম উৎপাদন হচ্ছেনা। বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী দুই ধরনের রঙ্গীন সিসিটিভি মনিটরিং সিষ্টেম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ষ্ট্যান্ড এ্যালোন এমবেডেড ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার) সম্বলিত সিসিটিভি মনিটরিং সিষ্টেম এবং পিসি বেজড সিসিটিভি মনিটরিং সিষ্টেম। ব্যবহারের ভিন্নতার কারনে বর্তমানে রঙ্গীন সিসিটিভি ক্যামেরা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমনঃ সাধারন ক্যামেরা, ডোম ক্যামেরা, হিডেন ক্যামেরা, স্পাই ক্যামেরা, স্পীড ডোম পিটিজেড ক্যামেরা, হিডেন ক্যামেরা, স্পাই ক্যামেরা, ডে-নাইট ক্যামেরা, জুম ক্যামেরা, ভেন্ডাল প্রুফ ক্যামেরা এবং আই পি ক্যামেরা উল্লেখযোগ্য।
সাধারন ক্যামেরা
যে সমস্ত এলাকায় ঐ জায়গাটি সিসিটিভি সিষ্টেম দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে প্রচার করার প্রয়োজন হয়, সেসব জায়গায় নরমাল ক্যামেরা লাগানো হয়। যাদেরকে বডি ক্যামেরা বা বক্স ক্যামেরাও বলা হয়ে থাকে। সাধারনত মিল-ফ্যাক্টরী, ব্যাংক-বীমা সহ অন্যান্য সব অফিসে প্রকাশ্যেই এসব ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ জাতীয় ক্যামেরায় প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন ধরনের লেন্স (ষ্ট্যান্ডাডর্ লেন্স, ওয়াই এ্যাঙ্গেল লেন্স এবং জুম লেন্স) লাগানো যায়। এসব ক্যামেরা, ক্যামেরা মাউন্টিং ব্রাকেট দিয়ে দেয়ালে বা কলামে লাগানো হয়।
ডে-নাইট ক্যামেরা
এই ডে-নাইট ক্যামেরাগুলোও দেখতে অনেকটা সাধারন ক্যামেরার মত এবং ক্যামেরা মাউন্টিং ব্রাকেট দিয়ে দেয়ালে বা কলামে লাগানো হলেও এর দক্ষতায় আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে। এই ক্যামেরার লেন্স এর চতুর্দিকে সাজানো রয়েছে অনেকগুলো ইনফ্রা-রেড ইলুমিনেটর এবং একটি সেন্সর। দিনের বেলায় যেমন ঝকঝকে রঙ্গীন ছবি পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি নির্দ্দিষ্ট পরিমান আলো না থাকলে তখনই সেন্সরটি ইলুমিনেটর গুলোকে জ্বালিয়ে দেয়। যার ফলে অমাবশ্যা রাতের মত ঘুট-ঘুটে অন্ধকারেও ৫০ ফুট দূরের বস্তু পরিষ্কার দেখা যায়। কিন্তু মানুষের চোখ এই ইলুমিনেটর এর কোন আলোই চোখে দেখেনা।
ডোম ক্যামেরা
যে সমস্ত বাসায় দেয়ালে ক্যামেরা লাগানোর সুবিধা নেই বা দেয়ালে লাগালে সামগ্রীক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়না, সেখানে এসব ডোম ক্যামেরা লাগানো যেতে পারে। এসব ক্যামেরায় একটি নির্দ্দিষ্ট ধরনের লেন্স লাগানো থাকে এবং এসব ক্যামেরা সাধারনত ক্যামেরা মাউন্টিং ব্রাকেট লাগেনা যাহা সাধারনত শুধু সিলিং এ লাগানো হয়। এই জাতীয় ক্যামেরা সাধারন লোকের জন্য চেনা একটু কঠিন। কারন এতে কোন লেন্স দেখা যায়না, অনেকটা বাতির মত দেখতে কালো আবরনে ঢাকা।
ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার)
কোন বড় বাড়ির নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যবহৃত হতে পারে এই ৮ বা ১৬ চ্যানেলের ষ্ট্যান্ড এ্যালোন এমবেডেড ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার) এবং বিল্ট-ইন ডিভিডি রাইটার। এই সিষ্টেমে ৮-১৬ টি ক্যামেরার ছবি একই পর্দায় একসাথে দেখা যায় আলাদা আলাদা ভাবে হার্ডডিস্কে রেকর্ড হয়। বিশেষ কোন প্রয়োজনীয় মুহুর্তের ছবি ডিভিডিতে রাইট করে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষন করা যায়। এছাড়াও হাই স্পীড ইন্টারনেট (স্ট্যাটিক আইপি) সংযোগ এর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন জায়গা থেকে লগ ইন করে লাইভ সিসিটিভি মনিটরিং বা রেকর্ডিং করা যায়।
কম্পিউটার সিষ্টেম সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকর্ডিং সিষ্টেম
যারা একটু কম খরচে সিসিটিভি মনিটরিং বা রেকর্ডিং সিষ্টেম চান তাদের জন্য পিসি বেজড সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকর্ডিং সিষ্টেমই ভাল। ৮ চ্যানেলের সিষ্টেমের জন্য যেকোন একটি সিপিইউ এর পিসিআই স্লটে একটি ডিভিআর কার্ড (১৬ চ্যানেলের সিষ্টেমের জন্য দুটি ডিভিআর কার্ড) লাগিয়ে তার সাথে পাওয়া সফট্ওয়্যারটি ইন্সষ্টল করে নিয়ে এর সাথে একটি মাউস ও মনিটর হলেই সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকর্ডিং সিষ্টেম দাঁড়িয়ে গেল। এবার ক্যামেরা গুলো এর সাথে সংযুক্ত করে চালু করলেই পেয়ে যাবেন কম খরচে সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকর্ডিং সিষ্টেম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন